পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজুয়ার জেলায় গতকাল রোববার জমিয়ত উলামা ইসলাম-ফজলের (জেইউই-এফ) সম্মেলনে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজের।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী এ বোমা হামলার পেছনে সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজুয়ার জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) নাজির খান বলেন, বাজুয়ার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের বাজুয়ার থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে পেশোয়ারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ‘আমরা এখনো বাজুয়ার বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক তদন্ত থেকে ধারণা করা হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন দায়েশ জড়িত ছিল।’
পুলিশ আরও জানায়, তারা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।
নাজির খান বলেন, এই হামলার সঙ্গে জড়িত, এমন সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) দেশটির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ করে। এরপর থেকেই খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের প্রথমদিকে পেশোয়াররে একটি মসজিদে বোমা হামলায় ১০০ জন নিহত হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা সংস্থা সস্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়, টিটিপি সম্ভবত আল কায়েদার সঙ্গে এক হয়ে একটি প্রধান সংগঠন গড়ে তুলবে যারা দক্ষিণ এশিয়ার সক্রিয় সব জঙ্গিদের আশ্রয় দেবে।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানকে জঙ্গি সংগঠনদের আশ্রয় না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে আসছে।
জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান, পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রদেশটির তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আজম খানের কাছে এ হামলার ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।