অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের অবৈধ ব্যবসার আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারী এজেন্ট, চিকিৎসক, দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা এবং লোভী ও অমনোযোগী রাজনীতিবিদদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। খবর ডনের।
লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা ও করাচির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো এই জঘন্য অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র হয়েছে উঠেছে, যা অংশগ্রহণকারী হাসপাতাল, চিকিৎসক, পুলিশ ও রাজনীতিবিদদের কোটি কোটি টাকা আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত রোগী কিডনির মতো অঙ্গের সন্ধানে এখানে ছুটে আসছেন।
এই চক্র এতটাই বেপরোয়া যে, পুলিশের নাকের ডগায় তারা এমন জঘন্য কাজ করলেও তাদের কার্যকলাপের কথা বাইরের লোকজন খুব কমই জানতে পারে। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য একটি ভূগর্ভস্থ পরীক্ষাগারে জিম্মি হিসেবে অর্ধ-ডজন পুরুষ ও এক কিশোর ছেলেকে গ্রেফতারের ঘটনাটি এর ব্যতিক্রম ছিল। সৌদি এক নাগরিক এর ক্রেতা ছিলেন। পুলিশ একটি নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরে এই চক্রের সন্ধান পায়। ছেলেটির কিডনির জন্য বলা হচ্ছিল ৪ হাজার ডলার।
তবে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ও সার্জনদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে কিডনির অবৈধ প্রতিস্থাপন পাঞ্জাবে, বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও ইসলামাবাদে সংঘটিত হয়ে থাকে বলে জানা যায়। আর এর ফলে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে অঙ্গ সংগ্রহের জন্য শিশুদের অপহরণের ঘটনা বাড়ছে।