আরও জানা গেছে, বিমানটি পরিচালনার জন্য প্রথম যে পাইলটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তিনি আসতে না পারায় নতুন পাইলট আনা হয়। পরে নতুন পাইলট বিমান ছাড়তে ঘণ্টাখানেক দেরি হবে- এমন ঘোষণার দেওয়ার পরপরই সাহিল কো-পাইলটের উপর চড়াও হন।
পরে সাহিলকে বিমানবন্দরে নামিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পাইলট। পুলিশ এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ওই যাত্রীকে কী শাস্তি দেওয়া হবে, নির্ধারণ করবে ওই তদন্ত কমিটি। পাইলটের সঙ্গে সহিংস আচরণের জন্য তাকে ‘নো-ফ্লাই’ তালিকায় ফেলতে পারে ইন্ডিগো। তেমনটি করা হলে ইন্ডিগোর কোনো প্লেনে আর যাতায়াত করতে পারবেন না তিনি।
যুবকের এমন কাণ্ডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে নেটিজেনরা। এক্সে ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টবক্সে একজন লিখেছেন, দেরি হলে সঙ্গে পাইলট কিংবা কেবিন ক্রুদের কী দোষ? এই লোকটিকে (সাহিল) গ্রেফতার করুন ও তাকে নো-ফ্লাই তালিকায় রাখুন। তার ছবি প্রকাশ করুন, যাতে সবাই তার খারাপ মেজাজ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
আরেকজন লিখেছেন, এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত ও তাকে নো ফ্লাই লিস্টে রাখা উচিত। যদিও ইন্ডিগোর গাফিলতি ও ত্রুটিগুলোর জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে ওই যুবকের আচরণ সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সেবা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা কুয়াশার পুরু চাদরে মোড়া। ফলে দৃশ্যমানতা তলানিতে ঠেকেছে। বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্ডিগোর এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে।