পশ্চিমারা যদি রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এড়াতে মস্কো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেছেন।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আজভ ও কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। টেলিফোনে কথা বলার সময় আজভ ও কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা মারিও দ্রাঘিকে বলেছেন পুতিন।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের কৃষকদের দুই কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। দেশটিতে নতুন খাদ্যশস্য আহরণের মৌসুম চলে এসেছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুবেলা বলেছেন, রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দেশটি কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের বন্দর নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে।
বিশ্বের ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে মস্কো। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে লাখ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে পারছে না কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ দখলদার বাহিনী দনবাস অঞ্চল ‘পুড়িয়ে’ দিতে পারে এবং ওই অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। দনবাস অঞ্চলে মস্কো গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি।
তিনি আরো বলেছেন, বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে তারা দনবাস অঞ্চলকে পুড়িয়ে দিতে চায়। রাতের বেলা দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন জেলেনস্কি।