ভারতে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এ রাজ্যে ১০০ জনের মধ্যে ৪৫ জনের বেশি মেয়ের বয়স ২১ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। সম্প্রতি বিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল ২০১৯ সালের ‘স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতেই উঠে এসেছে এমন চিত্র।
পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত বলছে, ভারতে জাতীয় স্তরে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২২ দশমিক ১ বছর। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২১ বছর। পাঞ্জাবে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর, দিল্লিতে ২৪ দশমিক ১ বছর। বিয়ের গড় বয়সের দিক দিয়ে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও বিহার রাজ্য থেকেও পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ মেয়ের ২১ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হলেও, ৩ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ের তারও আগে বিয়ে হয়। রাজ্যের ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ২১ বছরের পরে।
তবে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দপ্তরের সংঘমিত্রা ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি এখনো পরিসংখ্যানটি দেখেননি। তিনি বলেন, বিয়ের বয়সের পরিসংখ্যানের অংক দিয়ে রাজ্যে মেয়েদের ক্ষমতায়নের জায়গাটা কোথায় দাঁড়িয়ে তা বোঝা যাবে না। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন।
রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী উল্টো দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে কম বয়সে বিয়ের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, কারণ বেশির ভাগ বিয়েই প্রশাসনের কাছে নথিভুক্ত হয়। অন্য অনেক রাজ্যে তা হয় না বলেই আসল পরিস্থিতিটা বোঝা যায় না।
মেয়েদের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এ পরিসংখ্যান করোনা মহামারির আগের। তবে করোনা মহামারিতেও বাল্যবিয়ে বেড়ে গেছে বিশ্বজুড়ে, বলছেন নারী অধিকারকর্মীরা।