ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্যাস লিক হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৩০ জন। বর্তমানে তারা শ্রীরামপুর ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অসুস্থদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হুগলীর শ্রীরামপুর থানার পিয়ারাপুর এলাকায় দিল্লী রোডের কাছে জিও স্মার্ট ফুট প্যাকেজিং কারখানায় বুধবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই কারখানার এক কর্মী অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় হাত লেগে সেটি হঠাৎ খুলে যায়। সে সময় কারখানার কর্মীদের টিফিন টাইম ছিল।
কর্মীরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। এই ঘটনায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বেশিরভাগই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি করে তাদের উদ্ধার করে শ্রীরামপুর এসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩০ জন হাসপাতাল গেলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর নয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২১ জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই কারখানার অসুস্থ কর্মী দেব চক্রবর্তী বলেন, এক কর্মী হ্যান্ডজ্যাক নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই অসতর্ক ভাবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থেকে কোনো ভাবে গ্যাস বেরিয়ে পড়ে।
অনেক চেষ্টা করলেও ওই গ্যাস আর আটকানো যায়নি। এর ফলে গ্যাস পুরো কারখানা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় কর্মীরা টিফিন করছিল। এক জায়গায় সবাই থাকার কারণে গ্যাস সবার নাক মুখ দিয়ে ঢুকে বেশিরভাগই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন চাপদানির বিধায়ক অরিন্দম ভূঁই ও ধোনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। তবে পুরো ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।