পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হলো ভুটানে। ভুটানে বেড়াতে গেলে অন্তত ২১ দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে পর্যটকদের। প্রতিদিনের জন্য ভুটান সরকার নির্দেশিত ফি দিতে হবে তাদের। বেড়ানোর জন্য প্রতিদিনের ন্যূনতম ফি ছাড়াও লাগবে সমস্ত রকমের কোভিড টেস্টের খরচ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিমা থাকতেই হবে।
এমনকি ঢাকা থেকে ভুটানে ফিরে ২১ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ও তার সফর সঙ্গীরা। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডঃ লোটে শেরিং বলেছেন, ‘সরকার কখনই পর্যটকদের ভুটানে আসা বন্ধ করেনি। তবে বছর ফিরে তাকালে গোটা বিশ্বের মতো আমরাও অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমরা কিছুটা কোমর শক্ত করতে পেরেছি। তাই পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু প্রতি পর্যটকদের কঠোর কোভিড নির্দেশিকা-সহ সমস্ত আচরণবিধির মান্যতা বাধ্যতামূলক।’
করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বের বহু দেশ নাকাল হলেও ভুটানে সংক্রমণ কার্যত নেই। প্রথম ঢেউয়ে সামান্য কিছু মানুষ আক্রান্ত হলেও তার পরে নতুন করে কোনও সংক্রমণ ছড়ায়নি। এখন ভুটানে দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। সেই কারণেই সংক্রমণ ঠেকাতে এমন কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে।