পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে একটি বিশেষ এয়ারিয়াল সার্ভেইলেন্স কোম্পানি গঠন করেছে, যার কাছে রয়েছে থার্মাল প্রযুক্তিসম্পন্ন উন্নত ড্রোন। এসব ড্রোন ইতোমধ্যেই মাঠে নামানো হয়েছে এবং তারা শিল্পকারখানার দূষণ নজরদারিতে কাজ শুরু করেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন নজরদারির মাধ্যমে সম্প্রতি লাহোরের মেহমুদ বুটি এলাকায় তিনটি অবৈধ পাইরোলাইসিস প্লান্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও পরিবেশ দূষণে জড়িত পাওয়া গেছে এবং শত শত কার্বন ভর্তি বস্তা জব্দ করা হয়েছে।
এই অভিযান বিষয়ে একটি অফিসিয়াল প্রতিবেদন তৈরি করেছে এয়ারিয়াল সার্ভেইলেন্স কোম্পানি, এবং পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইমরান হামিদ শেখ বলেন, ‘এই উদ্যোগ পরিবেশগত নজরদারিতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ইটভাটা ড্রোনের মাধ্যমে ই-ম্যাপিংয়ের আওতায় আনা হবে। পরিবেশ কর্মকর্তাদের কার্যকারিতা মূল্যায়নেও ড্রোন ফুটেজ ব্যবহার করা হবে।’
বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি দূষণকারীদের হাতে-নাতে ধরতে, নজরদারির ফাঁক বন্ধ করতে এবং সার্বিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।