কেসি আরও বলেন, ‘৩০০ মিটার গভীর গিরিখাত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা খুবই কঠিন কাজ। আমরা মিশন সফল করার জন্য সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করছি।’
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির সেনাবাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার কাঠমান্ডুতে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য পোখারায় পাঠানো হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত ৬৯ জনের মধ্যে ৪১ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে আরও জানানো হয় শনাক্ত কাজে সহায়তার জন্য কাঠমান্ডু থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল পোখারায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধারকারী টিম এটিআর ৭২ প্লেনটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এনওয়াইটি ৬৯১ কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক আগে বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন আর্জেন্টিনার, দুজন কোরিয়ান এবং একজন ফরাসি ছিলেন।
এদিকে, এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়গুলো পরীক্ষা করার দায়িত্বে যারা থাকেন তারা সমস্ত এটিআর-৪২ এবং এটিআর-৭২ প্লেন পরীক্ষা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় বিমানটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি।’
তারা আরও জানায়, দৈনিক পর্যবেক্ষণ, প্রাক-ফ্লাইট পরীক্ষা ও নির্ধারিত পর্যবেক্ষণ নিয়মিতভাবে পরিচালিত হয়েছে আইসিএও-র নির্ধারিত মান এবং কোম্পানির সুপারিশের ভিত্তিতে।