ওই চারটি সংগঠন নেদারল্যান্ডস সরকারকে দেশটির নীতি কাঠামো, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায়।
অক্সফাম নোভিবের পরিচালক মিচিয়েল সারভায়েস বলেন, ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করতে চায়। কিন্তু অনবরত গোলাবর্ষণের কারণে, তা সম্ভব হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য হলেও এ বোমাবর্ষণের পেছনে নেদারল্যান্ডসের সামরিক সহযোগিতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া থামাতে হবে। আমাদের জন্য আদালতে যাওয়া হবে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, কিন্তু দুঃখজনক হলেও আর কোনো উপায় নেই।
নেদারল্যান্ডসের বৃহত্তম শান্তি সংগঠন প্যাক্সের পরিচালক মার্টজে ভ্যান নেস বলেন, অস্ত্র রপ্তানির জন্য আমাদের দেশের কঠোর মূল্যায়ন কাঠামো রয়েছে। নেদাল্যান্ডসের সামরিক পণ্যগুলো মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে, এসব ক্ষেত্রে অস্ত্র রপ্তানি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
মার্টজে ভ্যান নেস আরও বলেন, স্পষ্ট সতর্কতা দেওয়া সত্ত্বেও সরকার ইচ্ছা করে আইনের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এজন্য তারা গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পেছনে আংশিক দায়ী।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ডাগমার ওডশুর্ন বলেন, নেদারল্যান্ডস সরকার তাদের সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ও ইসরায়েলে অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এরপর থেকে গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।