নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ইরানের তেল রপ্তানি বেড়েছে। দেশটির তেলমন্ত্রী জানিয়েছে, ২০১৮ সালের পর ক্রুড অয়েল রপ্তানি বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। খবর প্রেসটিভির।
জাভাড ওয়াজি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে (শুরু হয়েছে ২১ মার্চ ২০২২) ৮৩ মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড তেল রপ্তানি করেছে। তাছাড় আগের বছরের তুলনায় ইরানের গ্যাস রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তেলমন্ত্রী বলেন, ইরানি জ্বালানিখাত লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়লেও আসন্ন মাসগুলোতে ক্রুড তেলের রপ্তানি বাড়বে।
এদিকে পুনরায় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুইটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আলোচনার পর সৌদি আরব ও ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় রাজি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দূতাবাস খোলা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত আগে বাস্তবায়ন করা হবে। পরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিক নিয়োগ দেবেন।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে ‘সতর্ক ভাষায়’ স্বাগত জানালেও তা টিকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন। জন কিরবি বলেছেন, ইরান তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করে কি না, তা দেখতে হবে।