রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভারতে আসছে রুশ তেল। আমেরিকার আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনেছে ভারত। তবে এ বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না আমেরিকা। বুধবার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বাইডেন প্রশাসন। সে দেশের ইউরোপ এবং এশিয়াবিষয়ক সহ-বিদেশসচিব কারেন ডনফ্রেন্ড জানিয়েছেন, ভারত এবং আমেরিকা একে অপরের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
এর পাশাপাশি আমেরিকার শক্তি বিষয়ক বিদেশসচিব জিওফ্রে প্যাট জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে, তাতে আমেরিকার কোনো আপত্তি নেই। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চালানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে জ্বালানির ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তার ভূমিকা অপরিসীম বলেও দাবি করেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। আমেরিকার মিত্র এবং সহযোগী পশ্চিমা দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নেয়। এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার তেলের চাহিদা কমিয়ে ব্যারেল প্রতি দাম কমিয়ে আনা। এই সিদ্ধান্তে ইউক্রেন যুদ্ধে রসদ জোগানোর ক্ষেত্রে পুতিনের দেশ সমস্যায় পড়বে বলে মনে করে আমেরিকা। যদিও যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইতি টানার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি রাশিয়া। উল্টো আক্রমণের মাত্রা আরো বৃদ্ধি করেছে।
এদিকে আমেরিকার সঙ্গে রণকৌশলগত সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেও জাতীয় স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। রাশিয়ার সস্তা তেল আমদানি করা ক্রমশ বাড়িয়েছে ভারত। দেশের অভ্যন্তরের চাহিদা মিটিয়ে ভারত আমেরিকায়ও পরিশোধিত তেল পৌঁছে দিচ্ছে। গত মাসেই ভারত থেকে প্রায় ৮৯ হাজার ব্যারেল ডিজেল নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছে।