অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই হচ্ছে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়। তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেছেন।
পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিণ্ডিতে লং মার্চ কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভিডিও ভাষণে ইমরান খান এ কথা বলেন।
পিটিআই ঘোষিত ‘হাকিকি আজাদি’ লং মার্চ কর্মসূচি আবারও শুরু হয়েছে।
ইমরান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার চলছে এই কর্মসূচি। এখনো এতে সশরীরে যোগ দেননি ইমরান খান। লং মার্চের গত কয়েক দিনে ভিডিও মাধ্যমেই বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
নির্বাচনে দলের সাফল্যের কথা তুলে ধরে সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, এস্টাবলিশমেন্ট (সেনাবাহিনী) সরকারের সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও পিটিআই ৭০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছে নির্বাচনে। দেশের মানুষ চাপিয়ে দেওয়া নেতৃত্বকে মানবে না।
ইমরান খানের বক্তব্যের একটি বড় অংশ ছিল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তান রেকর্ড মাত্রার মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সেই দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। কিন্তু এর পরিবর্তে এই সরকারের লোকজন নিজেদের দুর্নীতির অপরাধগুলো ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট গত এপ্রিলে ইমরানকে অনাস্থা ভোটে হারানোর পর থেকে তিনি এই সরকারের কথিত দুর্নীতির অভিযোগে সরব রয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশটিতে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ একটি বড় ইস্যু। এ মাসের শেষ দিকে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হবে।
সেনাপ্রধান নিয়োগ বিষয়ে ইমরান খান বলেন, বর্তমান সরকার সেনাপ্রধান নিয়োগ করতে সেনা আইন পরিবর্তন করতে চাইছে। নিজেদের রক্ষা করতেই তারা এটি করছে।
ইমরান দাবি করেন, এখনকার শাসকরা দেশ থেকে পালাতে পারেন। এসব নেতা দেশের জন্য কিছুই করছেন না, করছেন নিজেদের জন্য। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগগুলো নষ্ট করে দেওয়া। তারা কোনো পেশাদার সেনাপ্রধান নিয়োগ করবে না। কারণ তারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
ভিডিও মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সময় ইমরান খান তাঁর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় চলমান তদন্তকাজ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত শুধু প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বেই হতে পারে।
ইমরান দাবি করেন, তাঁর ওপর আক্রমণের ঘটনায় একজনকে আটক করা নিছক প্রতারণা। ওয়াজিরাবাদে ঘটনাস্থলে আরো একজন বন্দুকধারী ছিল।