নারী যদি ‘উস্কানিমূলক পোশাক পরেন’ তাহলে যৌন হয়রানির অভিযোগ আমলে নেয়া হবে না। ভারতের কেরালার এক আদালত বুধবার এমন কথা বলেছে।
উল্লেখ্য, সেখানে সমাজকর্মী ও লেখক সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে একজন যুবতী লেখিকাকে ২০২০ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি নন্দি সমুদ্র সৈকতে যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে তাকে জামিন অনুমোদন করে আদালত ওই মন্তব্য করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
জামিন আবেদনের সঙ্গে ৭৪ বছর বয়সী সিভিক চন্দ্রন আদালতের সামনে অভিযোগকারীর কিছু ছবি উপস্থাপন করেন। রায় ‘রিজার্ভ’ রেখেই কোজিকোড়ি সেশন কোর্ট বলেছে, ওই নারী ‘যৌন উস্কানিমুলক পোশাক পরেছিলেন’। অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন আবেদনের সঙ্গে যেসব ছবি উত্থাপন করেছেন তাতে দেখা যায়, অভিযোগকারী নিজেই পোশাক পরে নিজেকে ‘এক্সপোজ’ করেছেন। এগুলো যৌন উস্কানি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩৫৪এ ধারা ব্যবহার করা যায় না।
৭৪ বছর বয়সী সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত বিশ্বাস করে না বলে বলা হয়। একই সঙ্গে তার শারীরিক যে অবস্থা তাতে তিনি অন্য জনের ওপর শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন না বলে মনে করে আদালত।‘
যদি ধরেও নেয়া হয় যে, সেখানে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল, তবু এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব যে- ৭৪ বছর বয়সী একজন পুরুষ, যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম, তিনি শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। ফলে তার ওপর অভিযোগ টেকে না।
অভিযোগকারী নারীর মতে, ২০২০ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি নন্দি সমুদ্র সৈকতে একটি ক্যাম্প আয়োজন করেছিলেন সিভিক চন্দ্রন। সেখানে জোরপূর্বক তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান সিভিক চন্দ্রন এবং তাকে অনভিপ্রেতভাবে স্পর্শ করেন। এ বছর ২৯ শে জুলাই সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে এই মামলা রেজিস্ট্রি করে পুলিশ।
সিভিক চন্দ্রনের আইনজীবীদের দাবি, এই মামলা ভুয়া। অভিযুক্ত ব্যক্তির শত্রুরা এই মামলা সাজিয়েছে। তারা প্রশ্ন রাখেন, ঘটনা ২০২০ সালে ঘটলেও কেন কমপক্ষে দুই বছর পরে মামলা রেজিস্ট্রি করা হলো।