তালেবান ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যত ধরনের বিধিনিষেধ জারি করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করেছে নারীদের বিষয়ে। এবার আফগান নারীদের বেতন কমিয়ে দিয়েছে তালেবান।
এর আগে মেয়েদের গতিবিধি, ভূমিকা গুরুত্বহীন করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তালেবান, রাজনীতি থেকে মেয়েদের সরিয়ে দেওয়া, জনসমক্ষে তাদের চলাফেরা কমিয়ে ফেলা, শিক্ষা নিষিদ্ধ করা এবং কাজের সুযোগ সীমিত করে ফেলা।
সরকারি কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত আফগান নারীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমাদ ওয়ালি হকমাল এএফপিকে বলেন, যে নারীরা বাড়িতে আছেন এবং অফিসে যান না তারা প্রতি মাসে ৫ হাজার আফগানিস পাবেন। যেসব নারীরা সরকারি হাসপাতাল বা স্কুলসহ তাদের নিজ নিজ অবস্থান অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রশাসনিক পদ যারা মাসে প্রায় ২০ হাজার আফগানি বেতন পেতেন, তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরে ১৫ হাজারে কমিয়ে আনা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ বছর বয়সি এক নারী জানান, ২০২১ সালের শুরু থেকে কাবুলের বাইরে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। তার বেতন ১০ হাজার আফগানি কমে গেছে।
তিনি বলেন, বাড়িতে থাকতে বাধ্য হওয়া ইতোমধ্যেই আমাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা- আমরা খুব খারাপ এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপের মধ্যে আছি। এখন আমাদের বেতন কমে গেছে।
নারীদের প্রতি কঠোর নীতি ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে তালেবান। অনেক নারী অধিকার বলেছেন, তালেবানদের এই কাজ নারীদের মৌলিক মানবাধিকারের স্পষ্ট লংঘন। আফগান নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ চরম অবনতি হচ্ছে।
তালেবান পূর্ববর্তী বিদেশি-সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত বেশিরভাগ নারীকে অফিসে যেতে নিষেধ করেছিল। সেই সময় তালেবান শর্ত দেয় তাদের পুরো বেতন মাস শেষে তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। তবে এই নীতি এখন পরিবর্তিত হয়েছে।