নতুন বছরে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোক্তা। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির এক সমীক্ষায় এমনটি বলা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
জরিপে অংশ নেওয়া ৬১ শতাংশ বাইরে খাওয়া, ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়াসহ অতি জরুরি নয় এমন খরচ কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জরিপে উঠে এসেছে- বেঁচে থাকার জন্য অতি জরুরি যে খরচ যেমন খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং বাড়ি ভাড়া বা বাড়ির ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির এ অবস্থা আর কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
১৯৮০ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশের ওপরে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। যুক্তরাজ্যজুড়ে পরিবারগুলো খরচ কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, খরচের খাত কমিয়ে আনছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে। তার ওপর দফায় দফায় বাড়ছে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম।
আনুষ্ঠানিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের গড় প্রকৃত মজুরি কমে যাবে এবং আগামী দুই বছর জীবনযাত্রার মান কমবে অন্তত ৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। যার মাধ্যমে আগের আট বছরের প্রবৃদ্ধির প্রভাব মুছে যাবে।