সম্প্রতি ফরাসি নেতৃত্বাধীন গবেষকদের একটি দল ওই এলাকায় প্রাচীন পাঁচটি শহরের অস্তিত্ব খুঁজে পান। শহরগুলো রাস্তার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এগুলোতে ছিল অন্তত ২০টি জনবসতি।
প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এবং লেজার-ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সভ্যতার উন্মোচন করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ফ্রান্সের সিএনআরএস গবেষণা কেন্দ্রের প্রত্নতাত্ত্বিক স্টিফেন রোস্টেইনের মতে, এটি অনেকটা ‘এল ডোরাডো’ আবিষ্কারের মতো ঘটনা।
তিনি জানান, আবিষ্কৃত শহরগুলোতে মাটির বাড়ি, আনুষ্ঠানিক ভবন এবং কৃষি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা আমাজনে আগে কখনোই দেখা যায়নি।
রোস্টেইন বলেন, তিনি প্রায় ২৫ বছর আগে প্রথমবারের মতো এই হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার চিহ্ন খুঁজে পেয়েছিলেন। সেসময় অঞ্চলটিতে কয়েকশ মাটির ঢিবি লক্ষ্য করেছিলেন তিনি।
‘নিউইয়র্কের মতো শহর’
২০১৫ সালে দলবল নিয়ে আমাজনে অনুসন্ধান শুরু করেন এ গবেষক। তারা ছয় হাজারেরও বেশি মাটির ঢিবি এবং আয়তাকার প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পান, যা ‘উপানো জনগোষ্ঠীর’ মানুষদের ঘরের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতো।
মেঝেতে পাওয়া যায় ফায়ারপ্লেস, ভুট্টা দিয়ে তৈরি বিয়ার রাখার জন্য সিরামিকের বড় বয়াম, পাথর, বীজ প্রভৃতি।
‘উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শহরগুলো বড় ও সোজা রাস্তার মাধ্যমে সংযুক্ত, ঠিক যেন নিউইয়র্কের মতো’, বলেন রোস্টেইন।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, নগরসভ্যতায় এত উন্নত হয়ে ওঠা উপানো জনগোষ্ঠীর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা আজও অজানাই রয়ে গেছে।