ভারতের আগ্রায় এক ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মৃত্যু ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গিয়েছে, ধর্ষণের চেষ্টার পর তাতে অপারগ হয়ে ওই ছোট্ট শিশুকে খুন করা হয়েছে। এমনই তথ্য প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, শিশুকে যৌন অত্যাচারের পর তার মাথা থেঁতলে তাকে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেয়া হয় এই নারকীয় ঘটনায়। তবে প্রাথমিকভাবে কিছুতেই অভিযুক্তের খোঁজ মিলছিলনা ঘটনায়। পরে স্নিফার ডগ-এর সাহায্যে অভিযুক্ত এসেছে পুলিশের জালে।
খোঁজ মিলছিল না ছোট্ট ৬ বছরের শিশুকন্যার। তাকে খুঁজতে গোটা গ্রাম এক হয়ে চালাচ্ছিল তল্লাশি। এদিকে, ৪৫ বছরের রাজবীরও সেই খোঁজে শামিল হয়। পেশায় ওয়াচম্যান রাজবীরের সঙ্গে তার পরিবারও ওই মেয়েটিকে খুঁজতে থাকে। তবে সন্দেহ তৈরি হয় স্থানীয় এক ল্যাবরাডর কুকুরের কাণ্ডে। সে যতবারই রাজবীরকে দেখে, ততবারই চেঁচিয়ে ওঠে। জব্বর নামের ওই কুকুরের সহায়তায় খুব শিগগিরিই এই নারকীয় যৌন অত্যাচারের ঘটনায় রাজবীর জালে পড়ে পুলিশের।
জানা গিয়েছে, এর আগে ছোট্ট ৬ বছরের ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়েছিল অভিযুক্ত রাজবীর। ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শেষে ওই শিশুকন্যাকে হত্যা করে সে, এমনই অভিযোগ। প্রথমকে শিশুকন্যাকে পানিতে মুখ ডুবিয়ে রাজবীর হত্যা করে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তারপর তার মাথা থেঁতলে দিয়ে রাজবীর তাকে খুন করে। পরে সেই ছোট্ট শিশুর দেহ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই শিশু আর রাজবীর একই গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে, পুলিশের সামনে এই গোটা ঘটনা মেনে নেয় রাজবীর। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক চাষের ক্ষেতে ফসল পাহারা দেয়ার কাজে নিযুক্ত রয়েছে রাজবীর নামে ওই ওয়াচম্যান।