সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটে যাওয়া হ্যালোইন উৎসবের দুর্ঘটনা তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে তদন্তকারীরা রাজধানী সিউলে আইন প্রয়োগকারী ও জরুরি অফিসে অভিযান চালিয়েছে। কারণ ওই মর্মান্তিক ঘটনায় ১৫০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।
দেশটির সব মহল থেকেই অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় পুলিশ শুরু থেকেই উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ দুর্ঘটনা ঘটার অন্তত চার ঘণ্টা আগে থেকে জরুরি নম্বরে ফোন দিয়ে জানানো হয় সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু তাতে তেমন কোনো সাড়াত দেয়নি সেখানের পুলিশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, একটি বিশেষ তদন্ত ইউনিট সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সি, ইয়ংসানের পুলিশ স্টেশন, জেলা অফিস, দমকল বিভাগ ও সিউল মেট্রোর সদর দপ্তর থেকে নথি ও অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করেছে।
রাজধানী সিউলে শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে হ্যালোইন উৎসব ট্রাজেডিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ১৪টি দেশের অন্তত ২৬ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ বিদেশিসহ আরও ১৩২ জন।
নিহত বিদেশিরা চীন, ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, নরওয়ে, কাজাখস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং অন্য দুটি দেশের নাগরিক।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে বর্ণাঢ্য হ্যালোইন উৎসবে যোগ দিতে সিউলের ইতাইওন শহরে জড়ো হয়েছিল প্রায় এক লাখ মানুষ।
কিন্তু স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি সরু গলিতে ভিড় জমে গেলে কয়েকশ মানুষ আটকা পড়েন। সেখানে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মারা যান অনেকে।