দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিবছর নিঃসঙ্গতায় ভুগে মারা যায় হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে সামাজিক সম্পর্ক ও বন্ধনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মধ্যবয়সী পুরুষ। তারা পরিবার ও বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন এবং একাকী মারা যান।
কখনও কখনও তাদের মৃতদেহ খুঁজে পেতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহও লেগে যায়। দেশটিতে ‘একাকী মৃত্যু’ কোরিয়ান ভাষায় ‘গোডোকসা’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহার রয়েছে এ দেশে। দেশজুড়ে একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্ন থাকা একটি বৃহত্তর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে চাপে পড়েছে সরকার।
কোলাহলপূর্ণ রাজধানী সিউলের শহর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা এমন একটি শহর তৈরি করবে, যেখানে কেউ একা থাকবে না। এ খাতে তারা ৪৫১.৩ বিলিয়ন ওন (প্রায় ৩২৭ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় করবে।
এ ছাড়া তরুণদের নিঃসঙ্গ জীবন থেকে স্বাভাবিক সমাজে ফিরিয়ে আনতে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। সমাজবিচ্ছিন্ন নিভৃতচারী তরুণদের প্রতি মাসে ৬ লাখ ৫০ হাজার ওন পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেবে তারা। সংকটে থাকা যুব সম্প্রদায়কে সমাজে ফিরে আসার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে এই ভাতা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।