তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর আত্মগোপনে থাকা আফগানিস্তানের প্রথম নারী মেয়রদের একজন জারিফা গফুরি দেশ ছেড়েছেন। আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে জারিফা বলেন, তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখলের পর থেকেই বুঝতে পারেন চরম বিপদে পড়েছেন তিনি। কয়েকদিন পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জার্মানি চলে যান। দেশ ছাড়তে তাকে নাটকীয়তার আশ্রয় নিতে হয় বলেও জানান তিনি।
২৯ বছর বয়সী জারিফা নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। অল্প দিনেই তিনি সবার নজরে চলে আসেন।
জারিফা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, তালেবানরা আমাকে হুমকি মনে করে। কারণ তারা নারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, বাধ্যবাধকতা তৈরি করে। আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে, সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। তারা জানে আমার মুখের আওয়াজ তাদের বন্দুকের চেয়েও শক্তিশালী।’
জারিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা গত ১৮ আগস্ট একটি প্রাইভেটকারে চড়ে পালিয়ে কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। তালেবানের তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখেন তিনি।
জারিফা বলেন, যখন আমি বিমানবন্দর গেটে পৌঁছাই আশপাশে তালেবান সদস্যরা ছিল। খুব কষ্ট করে তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করতে পেরেছিলাম। এরপর তুরস্ক দূতাবাসের কর্মীরা তাকে সহায়তা করেন বিমানে পৌঁছাতে। পরে প্রথমে তিনি ইস্তানবুলে যান। পরে সেখান থেকে জার্মানিতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেন।
২০১৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে আফগানিস্তানের মাইদান ওয়ারদক প্রদেশের রাজধানী মাইদান শহরের মেয়র হন জারিফা। জারিফার বাবা ছিলেন আফগান সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, যিনি গত বছর যুদ্ধে নিহত হন।