মালদ্বীপের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ, প্রধান কৌঁসুলি হুসাইন শামীমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তার ডান ভেঙে গেছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালের দিকে দেশটির রাজধানী মালেতে নিজ বাসভবনের কাছেই দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তিনি।
মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস (এমপিএস) জানিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় হুসাইন শামীম উদ্ধার করে স্থানীয় এ.ডি.কে. হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন নিজের বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, মালের নূর মসজিদের কাছে অবস্থিত হুসাইন শামীমের বাসভবন। বুধবার সকালে বাড়ির সামরে সেখানে মোটরসাইকেল পার্ক করার পরপরই তিনি দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন।
মালদ্বীপ পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি ধারালো ছিল না। তবে সেটা যে আসলে কী ছিল, তা এখনো বোঝা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, প্রধান কৌঁসুলির ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
মোহাম্মদ সোলিহের রাজনৈতিক দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এমডিপি) এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বর্তমান মুইজ্জু সরকার ও অপরাধীচক্রের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এক বিবৃতিতে এমডিপি বলেছে, সরকারি কর্মকর্তা ও সন্ত্রাসী গ্যাংগুলোর মধ্যে সম্পর্কের প্রমাণ এই হামলা। সরকার এই গ্যাংগুলোকে নিজেদের স্বার্থে সুরক্ষা দিচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটরা বিষয়টি সম্পর্কে ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের সংসদীয় কমিটিকে অবগত করে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। সেন্ট্রাল হেনভেইরুর সংসদ সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটসের সভাপতি হাসান লতিফ সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ আসলামের কাছে একটি চিঠি লিখে ব্যাপক তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হুসাইন শামীমকে প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। বর্তমানে এই দলটি দেশটির সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকায় রয়েছে।
সম্প্রতি মালদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় দেশটির আইনপ্রণেতার উপর সংঘবদ্ধ একটি চক্রের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বুধবার দেশটির প্রধান কৌঁসুলির ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।