জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস বা দায়েশের মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদির দুই যমজ ভাই নির্মমভাবে তাদের মাকে হত্যা করেছিলেন। গতকাল রবিবার যে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব তাদের মধ্যে এই দুই সহোদরও ছিলেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খবর সৌদি গেজেটের। খবরে বলা হয়েছে, দায়েশ বা আইএসে যোগদানে নিষেধ করেছিলেন ওই যমজের মা-বাবা। আর তাই তারা তাদের মা-বাবা কাফের হয়ে গেছে বলে দাবি করেন।
২০১৬ সালের ২৪ মে ঘটে ওই মর্মান্তিক ঘটনা। তখন ছিল রমজান মাস। পবিত্র মাসেই এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটনার দুই ভাই। রিয়াদের আল-হামরা এলাকায় তা ঘটে। এক ভাই মাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে রাখেন এবং বাম হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন। অপর ভাই মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে মৃত মায়ের শরীর লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। দুই ভাই-ই এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, তাদের বিশ্বাস ছিল তাদের ‘পরিবার কাফের হয়ে গেছে।’ তারা আরও বলেন, তাদের বাবাও ‘একজন কাফের’। আর তাই তার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন তারা।
এরপর ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আল-খার্জ গভর্নরেটের আল-দালাম শহর থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই দুই ভাইয়ের একজনের নাম সালেহ বিন ইব্রাহিম আল-ওরাইনি, আরেকজন খালিদ বিন ইব্রাহিম আল-ওরাইনি। রিয়াদের ফৌজদারি আদালত তাদের নিজ মাকে নৃশংস হত্যা এবং দায়েশ মতাদর্শ গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করার পরে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে উচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
খালিদ ও সালেহ আল-হামরায় পারিবারিক বাড়িতে তাদের ৬৭ বছর বয়সী মা হাইলা, ৭৩ বছর বয়সী বাবা ইব্রাহিম বিন আলী আল-ওরাইনি এবং ২২ বছর বয়সী ভাই সুলেমানকে ছুরিকাঘাত করেন। তাদের মা ছুরিকাঘাতে মারা যান এবং বাবা ও ভাই গুরুতর আহত হন।