দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য দুয়ার খুলে দিলো নিউজিল্যান্ড। করোনা মহামারির কারণে এতদিন ধরে দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। খবর বিবিসির।
সোমবার অকল্যান্ড এয়ারপোর্টে পা রাখেন বহু পর্যটক। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর তাদের সাক্ষাতের ঘটনা আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দেয়।
এখন বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশের পর্যটক নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিতে হবে এবং করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
গত মার্চ থেকেই নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা অন্য দেশ থেকে দেশটিতে প্রবেশ এবং নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও এই সুবিধা দেওয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি তার সঙ্গীর সঙ্গে চিনচিনাতি থেকে নিউজিল্যান্ডে ভ্রমণ করছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ভিসার জন্য আবেদন করেন। তারপর থেকে প্রায় দুই বছর তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ডেভিড বেনসন নামের ওই ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, অবশেষে আমি এখানে আসতে পেরেছি। এই দেশের ৬ হাজার মাইলের মধ্যে আমি কখনো ছিলাম না এবং এটাই এখানে আমার প্রথম ভ্রমণ। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো অনুভূতি।
২০২০ সালের মার্চে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় নিউজিল্যান্ড। এমনকি দেশটির নাগরিকরা অন্য দেশ থেকে সেখানে প্রবেশ করতে পারলেও তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে।
৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭১৩ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছে। শুরু থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ, কড়াকড়ি, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন, টেস্টিং, ট্রেসিং সবকিছু সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার।
চলতি বছরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানান যে, তার দেশ সীমান্ত খুলে দেবে। সে সময় তিনি বলেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটি আবারও বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।