দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে দুই দিনের হেফাজতে নিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে ব্যাঙ্কশাল আদালতেই অসুস্থ বোধ করায় বিচারক তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশেই তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নেওয়া হয়। কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তির পর তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পার্থ চ্যাটার্জির নাকতলার বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যায় ইডির একটি দল। রাতভর মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। তখন তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এর আগেও পার্থ চ্যাটার্জিকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হয়েছিল। তখন সিবিআই জানায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।
পার্থ চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করার পর অর্পিতা মুখার্জিকেও আটক করা হয়। শনিবার সকালে অর্পিতাকে আটক করা হয়।
ইডির দাবি, অর্পিতা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গেছে স্বর্ণসহ বিদেশি মুদ্রা।
ইডি সূত্র আরও জানায়, টালিগঞ্জের কাছে হরিদেবপুরের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২০ কোটি নগদ অর্থ।
শুক্রবার রাতেই ইডি টুইটারে জানায়, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকার ছবিও পোস্ট করে ইডি।
তবে শনিবার অর্পিতা মুখার্জিকে যখন ইডির হেফাজত থেকে বের করা হচ্ছিল তখন তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসবই বিজেপির চক্রান্ত, আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।