সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। ভিক্ষা করলে তার জন্য মোটা অংকের জরিমানা বা জেল হওয়ার আইন রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটিতে। সেখানে গত কয়েক মাসে এই অপরাধে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে চমকে দিয়েছেন এক নারী।
খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, ওই নারী বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। রয়েছে প্রচুর টাকাও। তা সত্ত্বেও নিয়মিত ভিক্ষা করতে বেরোতেন তিনি।
জানা যায়, গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ১৫৯ জন ভিক্ষুককে গ্রেফতার করেছে আবুধাবি পুলিশ।
এদের মধ্যে একজনের বিষয়ে আগেই নালিশ জানিয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে অনুসরণ করতে থাকে এবং দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের সামনে ভিক্ষা করছেন।
তবে, তার আগে নিজের দামি গাড়ি বেশ খানিকটা দূরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন এবং হেঁটেই ভিক্ষার স্থানে পৌঁছাতেন ওই নারী।
তার গাড়িটি নতুন বিলাসবহুল মডেলের বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, ভিক্ষার মাধ্যমে সংগ্রহ করা প্রচুর টাকা পাওয়া গেছে তার কাছে।
টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত নারীকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
আমিরাতি কর্তৃপক্ষের মতে, ভিক্ষা করা একটি সামাজিক অভিশাপ। এটি যেকোনো সমাজের সভ্য ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।
পুলিশ বলছে, ভিক্ষুকদের থেকে প্রতারণার আশঙ্কা রয়েছে। তারা মানুষকে ঠকাতে ও তাদের উদারতার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে অর্থ আয় করতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী, কেউ ভিক্ষা করলে শাস্তি হিসেবে তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা ন্যূনতম পাঁচ হাজার দিরহাম (প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা) জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তবে সংঘবদ্ধভাবে ভিক্ষার শাস্তি ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম এক লাখ দিরহাম (২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রায়) জরিমানা।
জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ভিক্ষার মতো খারাপ আচরণ প্রতিরোধ করতে সম্প্রতি দেশব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে আমিরাতের পুলিশ।