দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব জাতীয় পরিষদে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর।
বিরোধী ছয়টি রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্ট ইউনের সাময়িক মার্শাল ল’ ঘোষণার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অভিশংসন প্রস্তাব এনেছে। প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং আরও কিছু ক্ষুদ্র দল আজ এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অভিশংসন বিল জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘এই প্রস্তাবটি জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।’
অভিশংসন পাসের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, ৩০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। বর্তমানে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্য মিলে তাদের আসন সংখ্যা ১৯২। ফলে অভিশংসন পাস করতে হলে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির অন্তত আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।
অভিশংসন হলে কী ঘটবে?
জাতীয় পরিষদে অভিশংসন বিল পাস হলে, প্রেসিডেন্ট ইউন সাময়িকভাবে তার ক্ষমতা হারাবেন। এরপর বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সংবিধান আদালতে পাঠানো হবে। সংবিধান আদালতের নয়জন বিচারকের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন যদি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট ইউনকে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করা হবে।
এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধী দলের ঐক্য এবং পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্যদের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ এই প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।