দক্ষিণ কোরিয়ায় সেক্স ডল আমদানি থেকে অবশেষে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। এমনিতেই সেখানে সেক্স ডল নিষিদ্ধ নয়। তবে এর কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতিনীতি এবং জনগণের নৈতিকতার ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করা হয়। শুধু এসব সেক্সডলই নয়, এমন আরও পণ্য আছে- যা আপত্তিকর হিসেবে দেখে কর্তৃপক্ষ। ফলে একটি আইনের অধীনে পূর্ণ মানুষের অবয়বে তৈরি সেক্সডল আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
২০১৮ সাল থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এমন কয়েক লাখ সেক্সডল জব্দ করেছে। ফলে বিতর্ক ওঠে যে, সরকার জনগণের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করছে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক চলতে থাকে। আমদানিকারকরা প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য আদালতে অভিযোগ করেন এবং যেসব সেক্সডল জব্দ করা হয়েছে তা ছাড় দেয়ার আবেদন করেন। তারা দাবি তোলেন, এসব আমদানিপণ্য মানব মর্যাদার কোনো ক্ষতি করে না।
২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি সিদ্ধান্ত সমুন্নত রাখে।
তাতে বলা হয়, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সেক্সডলের ব্যবহার পর্নোগ্রাফির ক্যাটেগরিতে পড়ে। কিন্তু পর্নোগ্রাফি দক্ষিণ কোরিয়ায় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, তবে বৈধ। ওদিকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন। তাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসব ডল আমদানি বন্ধ করার আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনকারী কে তা শনাক্ত করা না গেলেও তিনি বলেছেন, সেক্সডল অবাধে যৌনতা বিষয়ক অপরাধ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
পরে কাস্টমস কর্তকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা কোর্টের সাম্প্রতিক রায়গুলো, লিঙ্গ সমতা ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর মতামত পর্যালোচনা করেছেন। এরপর সেক্সডল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের হেফাজতে এ জাতীয় যেসব পণ্য আছে, তাও আমদানিকারকরা ফেরত পাবেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের কাছে এখনও কমপক্ষে ১০০০ সেক্সডল আছে। তা গত চার বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। তবে তারা আরও বলেছেন, একেবারে হুবহু কোনো মানুষের সঙ্গে, যেমন কোনো সেলিব্রেটির সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাহলে সেই সেক্সডল নিষিদ্ধই থাকবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি যেসব সেক্সডল আছে, যা অল্প বয়সীদের মতো দেখায়- সেগুলো বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে কিনা তা পরিষ্কার নয়। এমন সেক্সডল বিক্রিতে বিধিনিষেধ আছে অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে।