আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দোষী সাব্যস্ত হওয়া রায় স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্যই থাকবেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইমরান খানের আরেক আইনজীবী আলী জাফর জানিয়েছিলেন, কারাগালে বসেই লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ আসনে লড়াই করবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। একই সঙ্গে তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
তাছাড়া রায় ঘোষণার পর একই দিনে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
যদিও ইসলামাবাদ দায়রা আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তবে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসসহ আরও কয়েকটি মামলায় এখনো কারাগারেই আছেন ইমরান খান।
ধারণা করা হচ্ছে, গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায়ও দণ্ড পেলে আর কখনোই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪০ টিরও বেশি মামলা হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর থেকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। তোশাখানা মামলার শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইমরান। তার দাবি, রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে ও বিরোধীরা ভয় পায় বলেই তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।