নাইজেরিয়ার পাইপলাইন থেকে তেল চুরি বেড়েছে। আর তা প্রতিরোধে তেল উত্তোলন ব্যাপকভাবে কমিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চলতি বছর দেশটির এ খাতে বিনিয়োগও কমেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, গত ৩২ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
জানা গেছে, নাইজেরিয়ায় গত আগস্টে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেলের নিচে অপরিশোধিত তেল উত্তোলন হয়েছে। দেশটির নিয়ন্ত্রকদের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় তেলের উত্তোলন কমিয়ে দিয়েছে নাইজেরিয়া। ফলে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সংকুচিত অর্থনীতি আরও হুমকির মুখে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার মোট তেল উৎপাদন আগস্টে বার্ষিক সর্বনিম্ন ১ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে এসেছে। দেশটির আপস্ট্রিম পেট্রোলিয়াম রেগুলেটরি কমিশন এ তথ্য দিয়েছে।
কনসাল্টেন্সি এনার্জি অ্যাস্পেক্টসের ভূ-রাজনৈতিক প্রধান রিচার্ড ব্রোঞ্জ বলেন, সার্বিকভাবে নাইজেরিয়ায় তেল উৎপাদন কমায় দেশটির বৃহৎ ফোরকাডোস টার্মিনালে সরবরাহ ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ফলে ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে কম রফতানি হয়েছে।
তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থার (ওপেক) তথ্যমতে, নাইজেরিয়ায় দৈনিক উত্তোলন কখনওই ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেলের নিচে নামেনি। এমনকি নাইজার ডেল্টায় জঙ্গি হামলার সময়ও। তবে এবার চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় সেই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল দেশটি।