English

17 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

তেলাপিয়ার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে যুদ্ধ ঘোষণা!

- Advertisements -

এলিয়েন ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়াকে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে আগ্রাসী মাছের প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি দেশটির পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। মাছটির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবুও এটি থাইল্যান্ডের প্রায় ১৭টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতির এতটাই বেগতিক যে, মাছটি প্রতিরোধে পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। এর নেতৃত্বে থাকা আইনপ্রণেতা নাট্টাচা বুনচাইনসাওয়াত বলেছেন, “আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বিধ্বস্ত বাস্তুতন্ত্র রেখে যেতে পারি না।”

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, থাই কর্তৃপক্ষ কি এ লড়াইয়ে জিততে পারবে? আর কীভাবেই বা পশ্চিম আফ্রিকার এ মাছ অর্ধেক বিশ্বে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে?

থাইল্যান্ডে আগেও ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের মতো এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা অতীতে দেখা যায়নি।

নাট্টাচা বুনচাইনসাওয়াতের অনুমান, এবার এ প্রজাতির তেলাপিয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেশের অর্থনীতি ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) বাথ (থাইল্যান্ডের মুদ্রা) ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া বেড়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট সমস্যার মূলে রয়েছে মাছটির ছোট মাছ, চিংড়ি ও শামুকের লার্ভা খেয়ে ফেলার বিষয়টি। এগুলো থাইল্যান্ডের মূল্যবান জলজ সম্পদ বলে বিবেচিত।

তেলাপিয়া ধরতে শুধু উৎসাহ জোগানোই নয়, লোকজনকে রীতিমতো পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কেউ যদি এ মাছ ধরেন, তবে প্রতি কেজির জন্য ১৫ বাথ পাবেন তিনি। এর ফলাফল কী? রাজধানী ব্যাংককের উপকণ্ঠে পর্যন্ত মানুষ ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া ধরার আশায় প্লাস্টিকের গামলা নিয়ে হাঁটুজলে নেমে পড়ছেন।

ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া শিকারে বিভিন্ন জলাশয়ে ‘এশিয়ান সিবাস’ ও দীর্ঘ গোঁফওয়ালা ‘ক্যাটফিশ’ মাছও ছেড়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা এমন এক প্রজাতির মাছের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে, যেটি দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে।

এ অবস্থায় ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়ার জেনেটিক রূপান্তরের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধিতে অক্ষম তেলাপিয়া উৎপাদন করা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমন মাছ অবমুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। কর্তৃপক্ষের আশা, এর মধ্য দিয়ে আগ্রাসী প্রজাতির তেলাপিয়ার বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।

তবে ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া আসলেই নির্মূল করা সম্ভব কি-না সেটি নিয়ে সন্দিহান প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দেশটির ওয়ালাইলাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াটিক অ্যানিমেল জেনেটিকসের বিশেষজ্ঞ সুইত উথিসুথিমেথাভি বলেন, ‘আমি এটি (ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া) নির্মূল হওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। কেননা আমরা এর প্রজনন রোধ করতে পারব না। প্রাকৃতিকভাবেই এটি ঘটতে থাকবে। এর বংশবৃদ্ধিও ঘটে দ্রুত।’

সুইত উথিসুথিমেথাভির কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন আরেক বিশেষজ্ঞ নন প্যানিতভং। তিনি বলেন, “এলিয়েন প্রজাতির প্রাণিকুল নিয়ে সমস্যা হলো, এগুলো একবার যখন আবাস গড়ে তোলে, তখন এদের নির্মূল করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।”

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন