একে একে তিনটি বিয়ে করেন নারী। দ্বিতীয়পক্ষের ঘরে ছিল ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু তৃতীয় বিয়ে করার পর স্বামীর কাছে আনুগত্য প্রমাণ করতে দ্বিতীয়পক্ষের নিজের সেই মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন মা।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ের তিরুভোত্তিউর এলাকায়। রবিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। আগুনে দ্বগ্ধ মেয়েটির নাম ‘পবিত্রা’। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত নারী নাম জয়লক্ষ্মী এবং তার তৃতীয় স্বামীর নাম পদ্মনাভন।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় গাড়ি চালক পদ্মনাভন মাঝে মধ্যেই তার স্ত্রী জয়লক্ষ্মীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। রবিবার রাতে মত্ত অবস্থায় তিনি বাড়ি ফেরেন। ঘরে ফেরে শুরু করেন নানা অশান্তি ও অত্যাচার। এ সময় নিজের স্ত্রীর আনুগত্যের প্রমাণ চান তিনি।
মাতাল পদ্মনাভন জয়লক্ষ্মীকে বলেন, নিজের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে তিনি যেন নিজের মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। যদি জয়লক্ষ্মী বিশ্বস্ত হয়, তাহলে তার মেয়ের কিছু হবে না বলেও দাবি করেন পদ্মনাভন। এরপরই জয়লক্ষ্মী নিজের ঘুমন্ত মেয়েকে তুলে নিয়ে এসে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। অগ্নিদ্বগ্ধ পবিত্রার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
চেন্নাই পুলিশ ইতোমধ্যেই ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত ওই নারী ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পবিত্রা তার সৎ বাবা পদ্মনাভন ও মা জয়লক্ষ্মীর সঙ্গে একই ঘরে থাকতো।