চীনকে মোকাবেলায় একটি নতুন বিমানবাহী রণতরী নিজেদের নৌবহরে যুক্ত করতে প্রস্তুত ভারত। নিজস্ব কারিগরি সক্ষমতায় তৈরি এই রণতরী পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, টাকার হিসেবে প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বিমানবাহী এই রণতরী কমপক্ষে ২৮টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধারণ করতে পারে। কোচি শিপইয়ার্ডে তৈরি ৪৫ হাজার টনের আইএনএস বিক্রান্ত থেকে ফরাসি রাফেল জেটগুলো উড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সপ্তাহেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারটি বহরে যুক্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এটি ভারতের নৌবহরে যুক্ত হতে যাওয়া তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে চীনের বর্ধিষ্ণু উপস্থিতি মোকাবিলায় এই রণতরী গুলো ভারতের শক্তি প্রদর্শনের হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া এই রণতরীগুলো ভারতকে তাদের দূরবর্তী জলসীমায় নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করবে।
আমেরিকায় ৯/১১ হামলার পর থেকে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং জাপানের ১২৫টি রণতরী নিয়মিত টহল দিচ্ছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। ফলে এই অঞ্চলের দেশ গুলোকে নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানোর তাগিদ অনুভব করছে।
ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬০টি ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৭৫ যুদ্ধ জাহাজের বহর গড়ে তুলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যা জন্য তারা খরচ করবে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ভারতীয় রুপি। পরিকল্পনা ৬০ রণতরীর নির্মাণকাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে এয়ারফিল্ডের উন্নয়ন করেছে ভারত যাতে সেখানে রাতেও যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে পারে, পাশাপাশি চীনের কথা মাথায় রেখে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় নৌটহল বাড়িয়েছে ভারত।