তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় আট হাজার ছুঁয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৯৪ জনের। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৯৩২ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের পর তুরস্কের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এর ধারাবাহিকতায় উদ্ধারকাজে অংশ নিতে দেশটিতে কুকুর পাঠিয়েছে মেক্সিকো। খবর বিবিসি।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ১৬টি কুকুর নিয়ে একটি বিশেষ উড়োজাহাজ তুরস্কের উদ্দেশে মেক্সিকো সিটি ছেড়ে আসে। এসব কুকুর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ও ধ্বংসস্তুপ থেকে মরদেহ শনাক্ত করায় এসব কুকুরের অভিজ্ঞতা ও খ্যাতি রয়েছে। কুকুরগুলোকে উড়োজাহাজে ওঠানোর আগে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড।
এর আগে, ২০১৭ সালে মেক্সিকোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে উদ্ধারকাজে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল এসব কুকুর।
এই কুকুরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ফ্রিডা। ছয় বছর আগে হওয়া ভূমিকম্পে ১২ জন মানুষকে জীবিত ও ৪০টি মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেছিল কুকুরটি।
তবে শুধু মেক্সিকো নয়, ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধারকাজে অংশ নিতে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কুকুর পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, গ্রিস, লিবিয়া, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ।
সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর পর থেকে দফায় দফায় আরও কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে।
এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, ভূমিকম্পে দুই দেশে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।