তুরস্কে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বসনিয়ার ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল। সেই দলে রয়েছেন এমিনা নামের এক নার্স। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালে বসনিয়া যুদ্ধে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছিলেন।
তুরস্কের বর্তমান পরিস্থিতিকে বড় ধরনের ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তুরস্কের ১০ প্রদেশ। এতে শুধু তুরস্কে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আনাদোলু এজেন্সি বলছে, এমিনা বলেছেন— ‘এটি একটি বিরাট ট্র্যাজেডি, যা খুবই সামান্য সময়ে ঘটে গেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার মতো বিশ্বের প্রায় ৭০ দেশের ৯ হাজার ৩০০ জনের বেশি উদ্ধার ও অনুসন্ধানকারী অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
বসনিয়া যুদ্ধে মানবিক সেবা প্রদানকারী এই নার্স বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এমিনা কথাগুলো বলেন, যখন তিনি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত কাহরামানমারাস শহরের কেন্দ্রে এক উদ্ধারকারীকে সেবা দিচ্ছিলেন। ইস্তানবুলভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনের ওই স্বেচ্ছাসেবী দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এমিনা বলেন, উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা তাদের মনে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের প্রয়োজনীয় ইক্যুইমেন্ট (সরঞ্জামাদি) থাকতে হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরারাতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।