গ্রীষ্মের ছুটিতে তিব্বতের স্কুলছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের অদূরে কংপো অঞ্চলে দু’টি প্রশক্ষিণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
রেডিও ফ্রি এমিয়ার খবরে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, রাজধানী লাসা এবং অন্যান্য এলাকা থেকে ৮-১৬ বছর বয়সী শিশুদের দক্ষিণ তিব্বতের নিঙ্গত্রিতে স্থাপিত দু’টি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ইয়ং টিবেটান স্নো হক মিলিটারি সামার ক্যাম্প এবং তিব্বত রোং হি মিলিটারি ট্রেনিং সেন্টার নামে এই দুই শিবিরে তিব্বতী স্কুলছাত্ররা নিজস্ব তিব্বতী ভাষা শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই অঞ্চলের এক তিব্বতী লিখিত বার্তায় বলেন, লাসায় এখন স্কুল বিরতির সাথে সাথে তিব্বতীরা তিব্বতী ভাষা শেখার জন্য ক্লাস করার অনুমতি পাচ্ছে না। তাদের সামরিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাধ্য করছে।
ভারতভিত্তিক তিব্বত পলিসি ইনস্টিটিউটের ধর্মশালার গবেষক কর্মা তেনজিন জানান, সামরিক শিবিরে প্রশিক্ষণ তিব্বতী শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ভাষা শেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করছে, যা তিব্বতী জাতীয় পরিচয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তেনজিন বলেন, তিব্বতী শিশুরা গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে তিব্বতী স্কুল ও মঠে যোগ দেয়। কিন্তু এখন সামরিক প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। এ কর্মসূচি মাধ্যমে তাদের মগজধোলাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন।
তিনি বলেন, ‘চীনা সরকার যেভাবে সীমান্ত এলাকায় সামরিক শিবির স্থাপন করছে, ভবিষ্যতে এগুলোকে সামরিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে।’ উল্লেখ্য, তীব্বতীরা স্বাধীন জাতি হলেও ৭০ বছর ধরে সেখানে আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে চীন।