বিদ্রোহের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও ভাড়াটে যোদ্ধা বাহিনীর ওপর নির্ভর করছে রাশিয়া। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রাত্যহিক ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়া এখনও প্রাইভেট আর্মির ভাড়াটে এবং স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের ওপর ভরসা করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রেমলিনের একটি ভিডিও ক্লিপে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ওয়াগনারের প্রয়াত প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সহযোগী আন্দ্রেই ত্রোশেভকে বৈঠক করতে দেখা গেছে। পুতিন এই ত্রোশেভকে ওয়াগনার বাহিনীর দায়িত্ব দিয়েছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওয়াগনার বাহিনী ফের ইউক্রেন যুদ্ধে ফিরছে।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিলেন ওয়াগনারের সেনারা, তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। এই অসন্তুষ্টি থেকে তিনি জুন মাসের শেষ দিকে বিদ্রোহ করেছিলেন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কো অভিমুখে ওয়অগনার সেনাসহ যাত্রা করেছিলেন তিনি। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় অভিযাত্রা বন্ধ করেছিলেন তিনি। সমঝোতায় বলা হয়েছিল, প্রিগোজিন তার অনুগত যোদ্ধাদের নিয়ে বেলারুশে চলে যাবেন।
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন গত ২৩ আগস্ট উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন। তারপরও আধা সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপকে সচল রাখতে আগ্রহী মস্কো। বিশেষ করে আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে চায় মস্কো।
২০১৪ সাল থেকে আফ্রিকায় বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ দিয়ে সামরিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।