প্রেম করে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও সংসার সুখের হয়নি রেণু খাতুনের। কেবল সরকারি চাকরি পাওয়ার কারণে তার ডান হাতের কবজি থেকে কেটে নিয়েছেন স্বামী। তবে হাত হারালেও মনের জোর হারাননি রেণু। হাসপাতালের বিছানায় বসেই বাম হাত দিয়ে লেখা শেখার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। সুস্থ হয়ে সেই নার্সের চাকরিতেই যোগ দিতে চান তিনি।
জানা যায়, রেণু খাতুনের ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সম্প্রতি তিনি সরকারি নার্সের চাকরিও পান। কিন্তু এরপরেই চাকরিতে যোগদান ঠেকাতে তার ডান হাতের কবজি কেটে দেন স্বামী শরিফুল শেখ। গত শনিবার (৪ জুন) রাতে নৃশংস এই ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
শরিফুল নিজেও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীকে তিনিই নার্সিং পড়তে পাঠিয়েছিলেন। এ কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন রেণু। কিন্তু সেই ব্যক্তি হঠাৎ কেন এমন কাণ্ড ঘটালো তা বুঝে উঠতে পারছে না তিনি। রেণুর ধারণা, সম্ভবত বন্ধুদের কুপরামর্শেই এমন নৃশংস পথ বেছে নিয়েছেন তার স্বামী।
তবে সেসব ঘটনা এখন পুরোনো। এই প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে রেণুকে। তাই সময় নষ্ট না করে হাসপাতালের বিছানা থেকেই সেই লড়াই শুরু করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার থেকে বাম হাত দিয়ে লেখার চেষ্টা করছেন রেণু। সুস্থ হয়ে উঠে সরকারি হাসপাতালের নার্সই হতে চান তিনি।
এদিন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেণুকে দেখতে গিয়েছিলেন পুরোনো সহকর্মীরা। রাজ্য সরকারের কাছে তাদের আবেদন, রেণুকে যেন এখনো নার্সের চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে কেতুগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ রেণু খাতুনের শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। তবে স্বামী শরিফুলসহ তার দুই বন্ধু এখনো পলাতক।