এই চুক্তির মধ্য দিয়ে যাদের আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে, তাদের আবেদন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্তে যাচাই-বাছাই করা হবে।
বিএএমএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন করেছেন সিরীয় নাগরিকরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১ লাখ ৪ হাজার ৬৫১ জন নাগরিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।
আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে এর পরেই রয়েছে তুরস্কের নাম। দেশটির ৬২ হাজার ৬২৪ জন নাগরিক জার্মানিতে আশ্রয় চেয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের নাম রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। ৫৩ হাজার ৫৮২ জন আফগান নাগরিক আশ্রয় চেয়েছেন জার্মানিতে।
এরপরে রয়েছে ইরাক (১২ হাজার ৩৬০ জন), ইরান (১০ হাজার ২০৬ জন), জর্জিয়া (৯ হাজার ৩৯৯ জন) এবং রাশিয়া (৯ হাজার ২০৮ জন)।
জার্মানিতে প্রথমবারের মতো অন্তত ২৩ হাজার শিশুর জন্য আশ্রয় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, যাদের বয়স এক বছর বা তার চেয়েও কম। এদের প্রত্যেকের জন্ম জার্মানিতে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর অন্তত ১০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। তাদের অবশ্য আশ্রয়ের জন্য কোনো আবেদন করতে হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় যুদ্ধ শরণার্থীদের তাৎক্ষণিক অস্থায়ী সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিভিন্ন দেশের ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৪ জন মানুষ। সংখ্যাটি ছিল তার আগের বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি।