একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা সমস্যায় থাকা জাপানে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নিজ বাড়িতে একাকী মারা গেছেন। দেশটির পুলিশের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির তথ্যমতে, এদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার লোকের মরদেহ মৃত্যুর এক মাসেরও বেশি সময় পরে পাওয়া গেছে বা জানা গেছে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৩০ জনের দেহ পাওয়া যায় এক বছর পরে।
জাতিসংঘের মতে, জাপানে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জনগোষ্ঠী বাস করে। সংস্থাটি আশা করছে, তাদের প্রতিবেদন দেশটির বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান ইস্যু তুলে ধরবে, যারা একাকী বেঁচে থাকে এবং মারা যায়।
ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির তথ্য দেখায়, একাকী মারা যাওয়া ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৩৭ হাজার ২২৭ জনেরের বয়স ছিল ৬৫ বছর বা তার বেশি। যদিও বাড়িতে একা মারা যাওয়া আনুমানিক ৪০ শতাংশ লোককে একদিনের মধ্যে পাওয়া গেছে।
এ বছরের শুরুর দিকে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশাল সিকিউরিটি রিসার্চ জানায়, ২০৫০ সাল নাগাদ ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকের একা থাকার সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখে পৌঁছাবে। একই বছরে একক ব্যক্তির পরিবারের সামগ্রিক সংখ্যা ২৩.৩ মিলিয়নে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে জাপান সরকার দেশটির কয়েক দশক ধরে চলা একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা সমস্যা মোকাবেলায় একটি বিল উত্থাপন করে।
জাপান দীর্ঘদিন ধরে তার বয়স্ক এবং ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবেলার চেষ্টা করছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছিলেন, জন্মহার কমে যাওয়ায় তার দেশ সমাজবদ্ধ হয়ে কাজ করতে না পারার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
অপরদিকে ২০২২ সালে ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে। বারবার বিশ্বের সর্বনিম্ন প্রজনন হার দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।