English

28 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

জানা গেল টাইটানিকের নতুন তথ্য

- Advertisements -

টাইটানিক নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।এবার নতুন আরও তথ্য মিলল এক সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই জাহাজের। ডিজিটাল স্ক্যানের মাধ্যমে তৈরি করা থ্রিডি মডেলের মাধ্যমে জানা গেছে শেষ মুহূর্তে কী হয়েছিল জাহাজটির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে টাইটানিক জাহাজের স্ক্যান করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন। যার নাম দেওয়া হয়েছে টাইটানিক: দ্য ডিজিটাল রিসারেকশন। ডিজিটাল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে টাইটানিকের থ্রিডি মডেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বোঝা যাচ্ছে যে বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কোন অংশে ফাটল ধরেছিল এবং শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি কী দাঁড়িয়েছিল।

১৯১২ সালে জাহাজটি একটি বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। যাতে ১৫০০ আরোহী নিহত হয়। স্ক্যানিংয়ে জাহাজের বয়লার রুমের নতুন ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। যেখানে বলা হয়েছে প্রকৌশলীরা শেষ পর্যন্ত জাহাজের লাইট চালু রাখার চেষ্টা করেছিল।

টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপটি আটলান্টিক মহাসাগরের বরফ আচ্ছাদিত পানির ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে পড়ে রয়েছে। পানির নিচে কাজ করতে সক্ষম এমন একটি রোবট ব্যবহার করে এর ম্যাপিং করা হয়েছে।

রোবটটি প্রতিটি অ্যাঙ্গেল থেকে ৭ লাখের বেশি ছবি তুলেছে। যা ‘ডিজিটাল টুইন’ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, বরফের আঘাতে হাজারে একটি পোর্টহোল (গোলাকৃত বড় আকারের ছিদ্র, যা কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে) ভেঙে যায়। এছাড়া বরফগুলো জাহাজের কিছু কেবিনেও প্রবেশ করেছিল

যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পরও লাইটগুলা জ্বলেছিল। ডিজিটাল রেপ্লিকাতেও দেখা যায় বয়লারগুলো ডুবন্ত অবস্থাতেও কাজ করছিল। জাহাজে থাকা জোসেফ বেলের নেতৃত্বে একদল প্রকৌশলী বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার জন্য কাজ করেছিলেন। কিন্তু জাহাজ ডুবিতে তাদের মৃত্যু ঘটলেও তাদের এমন প্রচেষ্টায় অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে যায়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন