ক্রাইস্টচার্চ হামলা পরবর্তী সম্প্রীতি এবং করোনাযুদ্ধে অনুকরণীয় বিজয়ের পর এবার নির্বাচনেও ভূমিধস জয় পেলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। অর্ধেকেরও বেশি ভোট গণনায় দেখা গেছে, জ্যাসিন্ডা আর্ডেনের দল ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ ন্যাশনাল পার্টির প্রায় দ্বিগুণ বেশি ভোট পেয়েছে।
২৪ বছর আগে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমএমপি ব্যবস্থায় ভোটারদের দুটো ভোট দিতে হয়। একটি দিতে হয় পছন্দের দলকে, অন্যটি নির্বাচনী আসনের পছন্দের প্রার্থীকে।পার্লামেন্টে যেতে হলে একটি দলকে হয় কোনো নির্বাচনী আসনে জিততে হবে, নতুবা ৫ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন দুরূহ হলেও আরডার্নের দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। সাধারণত, শাসনক্ষমতায় বসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে জোট গঠন করতে হয়। তবে এবার আরডার্ন ও লেবার পার্টি জোট গঠন না করেই শাসনক্ষমতায় বসতে চলেছে।
ক্রাইস্টচার্চ হামলাসহ বিভিন্ন সংকটে নেতৃত্বের জন্য বিশ্বজুড়েই আলোচিত হয়েছেন ৪০ বছর বয়সী জেসিন্ডা। দক্ষতার সঙ্গে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে তিনি উদাহরণ সৃষ্টি করেন। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসিন্ডার দল যদি নির্বাচনের ফলাফলে এই ধারায় এগিয়ে থাকে তবে তা ১৯৯৬ সালের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিজয় হবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন