অবিলম্বে মালি থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ জানিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার। শুক্রবার (১৬ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলাই দিওপ এ নির্দেশ দেন।
আবদুলায়ে দিওপের অভিযোগ, জাতিসংঘের শান্তি মিশন ইউনাইটেড মিনুসমা অর্থাৎ নেশন্স মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি (এমআইএনইউএসএমএ) বাহিনী ‘আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ সমস্যার একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
মালির বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রান্সের দীর্ঘস্থায়ীভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে মালিয়ানদের আপত্তির পর মিনুসমার সমালোচনা করলেন দিওপ। গত বছর সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে জোট ভেঙে যায়।
২০১২ সালে সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মালির তৎকালীন সরকার ব্যর্থ হলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায় জাতিসংঘ। ২০২০ ও ২০২১ সালে মালিতে অভ্যুত্থানের পর ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক সরকারের সঙ্গে শান্তিরক্ষী বাহিনী ও ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতবিরোধ তৈরি হয়।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যবশত শান্তিরক্ষী বাহিনীই এখন আন্তঃসম্প্রদায় সংঘাত উসকে দিচ্ছে। বর্তমানে তারাই আমাদের সমস্যা হয়ে উঠেছে। মালির জনগণ, সরকার ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই মালি সরকার কোনো সময় নষ্ট না করে শান্তিরক্ষী বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে।
এদিকে, দিওপের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মালিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত এল ঘাসিম ওয়েন বলেন, কাউন্সিল যে সিদ্ধান্তই নেবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। যদিও সরকারের সম্মতি ছাড়া একটি নির্দিষ্ট দেশে কাজ চালিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে অসম্ভব নয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মালির সামরিক সরকার পশ্চিমের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক ছিন্ন করে সামরিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার দিকে হাত বাড়িয়েছে। মালিতে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সংগঠন ওয়াগনারের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিমের দেশগুলো চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।