ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, হরিয়ানায় টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে এক দশকের পর জম্মু-কাশ্মীরে হওয়া নির্বাচনে জয় পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও কংগ্রেসের জোট।
হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে ৯০টি করে বিধানসভা আসন রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার শ্রীনগরে ফারুক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল স্থানীয়রা। এবারের ভোটে সেই ক্ষোভেরই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে হরিয়ানায় ৪৮টি আসনে জিতেছে নরেন্দ্র মোদির দল।
এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রাজ্যটিতে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন।
তবে বুথফেরত জরিপে হরিয়ানায় কংগ্রেসের জয়ের আভাস মিলেছিল। এমনকি মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরুর দিকে বিজেপির চেয়ে এগিয়েছিল দলটি। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে বাজিমাত করে বিজেপি।
হরিয়ানার নির্বাচনের ফলাফলে বিস্মিত কংগ্রেস বলেছে, হরিয়ানার নির্বাচনের ফল অপ্রত্যাশিত। এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে হরিয়ানার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে ব্যাখ্যাতীত বিলম্বের অভিযোগ জানায় রাহুল গান্ধীর দল। তবে কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করে দেয় কমিশন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, হরিয়ানায় বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ায় জনগণকে সালাম জানাই। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি কাশ্মীরে জয় পাওয়া এনসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানাননি। মোদি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন বিশেষ মুহূর্ত। কারণ বিজেপিই প্রথম ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণ করেছিল।
মোদি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির অর্জনে আমি গর্বিত। যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। জম্মু-কাশ্মীরের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি।’