‘ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরব না’ এমন কথা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে দিলেই মিলছে কলেজে ভর্তির সুযোগ। এ ঘটনা ভারতের দক্ষিণ কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে। -ই-টিভি
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ই-টিভি বাংলার খবরে বলা হয়, বছর খানেক আগে একই কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছিল জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ। তখন নির্দেশনা জারি করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তখনও বক্তব্য প্রায় একই ছিল। এবার আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে সরাসরি মুচলেকা লিখে দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
কেন এ ধরনের মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘গতবছর আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তখন সেই নির্দেশনা অনেকেই অমান্য করেছিল। আমি মনে করছি, এই ধরনের পোশাক পরা অশালীন। তাই কোনোভাবেই এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করব না। সেই কারণেই ভর্তির সময় হলফনামায় সই করিয়ে নিচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রিন্সিপাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কলেজে প্রবেশ করার পর কলেজের অধীনে। সে সময় কলেজের নিয়ম মেনেই চলতে হবে। আবার কলেজ থেকে বের হওয়ার পর তারা স্বাধীন। তখন তারা কী করতে চান সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়।’
এদিকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়। সাম্প্রতিককালে বেঙ্গালুরুতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। এছাড়াও এই ধরনের আরও বেশ কিছু ঘটনার কথা শোনা গেছে উত্তরপ্রদেশে। এবার প্রশ্নের মুখে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ।