ইউক্রেনে সেনা অভিযানকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বে ইইউভুক্ত দেশসহ বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর জের ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নজিরবিহীন ভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার চাপ পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর।
অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান না করে ইউক্রেনের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছে- এমন অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। একই সাথে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার প্রাগের ঐতিহাসিক ওয়েনসেসলাস চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা দেশের জনগণ বাদ দিয়ে ইউক্রেনের প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়ার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করেন এবং পেত্রো ফাইলার নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। বর্তমান সরকার গত ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতায় এসেছে।
দেশের ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং দেশে বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনের শরণার্থী গ্রহণ করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, চেক প্রজাতন্ত্রের উচিত ছিল ইউক্রেন ইস্যুতে সামরিকভাবে নিরপেক্ষ থাকা। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা গ্যাসের সংকট সমাধানের জন্য সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা শীত আসার আগেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর জোরালো দাবি জানান। তারা বলেন, এ দুই খাতে সরকার বিশেষ পদক্ষেপ না নিলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।