ভারতে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফার মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আজ থেকেই কাজ শুরু করেছেন এস জয়শঙ্কর। ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চীন এবং পাকিস্তান নিয়ে প্রথম দিনই ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, মোদির নেতৃত্বে বিশ্বে ভারত কতটা এগিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার মোদি সময়ে পররাষ্ট্রনীতি এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন জয়শঙ্কর।
রোববার (৯ জুন) মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিজেপির রাজ্যসভার এমপি তিনি। সোমবার বিকালে নিজের বাসভবনে নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরই মন্ত্রণালয় বণ্টন করা হয়। দেখা যায়, গতবারের মতোই এবারও জয়শঙ্করকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন মঙ্গলবার দফতরে আসেন জয়শঙ্কর এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার পরই সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একাধিক বিষয় নিয়ে মোদির ভাবনা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।
পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি স্থায়ী সদস্যপদ নিয়েও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, আমি সম্পূর্ণরূপে আশাবাদী, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পররাষ্ট্রনীতি আরও সফল হবে। বিশ্বে ভারতের প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র আমাদের উপলব্ধি নয়, অন্য দেশগুলোও মনে করে ভারত সত্যি তাদের বন্ধু।
তারা দেখেছেন, জি-২০ সম্মেলনে ভারত কীভাবে সভাপতিত্ব করেছে। আমাদের দায়িত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীঘ্রই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাবে ভারত, এই আশাও প্রকাশ করেছেন জয়শঙ্কর।
এর পর ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ প্রসঙ্গেও কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে পর পর তিনবার নির্বাচিত হওয়া খুবই বড় ব্যাপার। ভারতে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, তা বিশ্ববাসী বুঝতে পারছেন।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, চীন এবং পাকিস্তান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আলাদা এবং সমস্যাও ভিন্ন। চীনের বিষয়ে অবশ্যই আমরা সীমান্ত সমস্যা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেব।
পাকিস্তান নিয়ে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কথা। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বহু বছরের পুরনো আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমস্যা রয়েছে। তাই সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শীতলতা রয়েছে। চলতি বছরে দুই দেশে নতুন সরকার এলেও সেই শীতলতা কাটেনি। তবে আগামী দিনে বরফ গলার আশা করছেন ফের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া জয়শঙ্কর।