চীনের সিনজিয়াং প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকায় দাবদাহ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওই এলাকায় হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। এর ফলে ওই এলাকায় কৃষিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জুনে চীনজুড়ে তাপমাত্রা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছে যায়। বাড়ি-ঘর, অফিস ঠান্ডা রাখতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে কৃষিখাতে। অনেক এলাকায় খরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিনজিয়াংয়ের সাম্প্রতিক দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে চীনের আবহাওয়া অফিস। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ১০ দিন ধরে তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। এই দুই এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। কাসগর, হোতান, আকসু, বাঝৌ এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২৪ ঘণ্টায় তুরপান এলাকায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে বলে শনিবার হুঁশিয়ার করা হয়। শনিবার ভোরে তুরপানের ওয়েসিস শহরে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, তাপমাত্রার অবিরাম বৃদ্ধির কারণে হিমবাহ গলে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভয়াবহ এই তাপপ্রবাহের কারণে সবধরনের ফসলে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে ক্ষতির মুখে পড়বে তুলা শিল্প। বিশ্বের ২০ ভাগ তুলা উৎপন্ন হয় সিনজিয়াঙে। ১ কেজি তুলা উৎপাদনে ২০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন হয়।
সিনজিয়াং কেবল নয়, আরও ২০টি প্রদেশেভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে।