English

26 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

চীনে পোকার কামড়ে নতুন ভাইরাস: ৭ জনের মৃত্যু

- Advertisements -
উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সামলাতে গোটা দুনিয়া হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটি ৮০ লাখের উপর আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার নতুন ভাইরাসের উৎ‌পাত শুরু হয়েছে চীনে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। চীনের নতুন এই ভাইরাসে এরই মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংক্রামিতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে।
চীনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশ এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনের শরীরে নয়া SFTS ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ভাইরাসের কমন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি, সেইসঙ্গে লিউকোসাইটের সংখ্যা হ্রাস। যাকে একসঙ্গে বলা হচ্ছে SFTS। অন্য দিকে, পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশও আরও ২৩ জন নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত। কোভিড ভাইরাসের মতো নয়া SFTS ভাইরাস প্রাণঘাতী কি না, তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে আছে। তবে, কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আর গাছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে না চীন। বিশেষত, সাত জনের প্রাণহানির উপর।
জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের এক আক্রান্ত নারী জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎ‌সকের কাছে গিয়েছিলেন। জ্বর না-কমায় চিকিৎ‌সকেরা রক্তপরীক্ষা করাতে দেন। দেখা যায় লিউকোসাইট কমে গিয়েছে। প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। হাসপাতালে রেখে এক মাসের উপর চিকিৎসা চলে। তার পরেই নারী সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে, জানা যায় নারী নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আনহুই ও জিয়াংসু প্রদেশে নয়া ভাইরাসের সংক্রমণে সাত জন এ পর্যন্ত মারা গেছেন। যদি চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, SFTS ভাইরাস (SFTS Virus) আদতে নতুন ভাইরাস নয়। ২০১১ সালেই এই ভাইরাসের প্যাথোজেনকে পৃথক করা হয়। এটি বুনিয়াভাইরাস (Bunyavirus)-এর ক্যাটেগরিতে পড়ছে।
ভাইরোলজিস্টদের ধারণা, বিশের একধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকেই মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। তবে, মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা তাঁরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। রক্ত বা মিউকাস থেকে ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের ঝিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক শেং জিফাং।
চিকিত্‍‌সকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পোকার দংশনই হল প্রধান সংক্রমণ রুট। তাই একটু সাবধানে থাকতে হবে। তবে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, এটি বলে। তবে, এই বুনিয়াভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হয়ে পড়ার মতো কিছু ঘটেনি।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন