মাদক চোরাচালানের অভিযোগে সম্প্রতি চার কানাডিয়ান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে চীন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চীন সম্প্রতি চার কানাডার নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। অটোয়ার পক্ষ থেকে নমনীয়তা প্রদর্শনের আবেদন উপেক্ষা করে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
জোলি অটোয়াতে সাংবাদিকদের বলেন, “চীনে কানাডিয়ানদের বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গোপনীয়তার অনুরোধের কারণে তিনি মামলার বিস্তারিত আলোচনা করতে পারছেন না।
চীন গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকায় পাঠানো এক বিবৃতিতে কানাডিয়ানদের মাদক অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছে।
গ্লোবকে পাঠানো দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ একটি গুরুতর অপরাধ যা বিশ্বব্যাপী সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হিসেবে স্বীকৃত।”
চীন সর্বদা মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ করে এবং মাদক সমস্যার প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা’ বজায় রাখে।
জোলি বলেন, তিনি এবং গত সপ্তাহে পদত্যাগ করা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চীনের কাছে নমনীয়তা প্রদর্শনের আবেদন করেছিলেন।
চীন মৃত্যুদণ্ডের পরিসংখ্যানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে, যদিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মনে করছে প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেইজিং ও অটোয়ার মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভ্যাঙ্কুভারে মার্কিন পরোয়ানায় চীনা টেলিকম হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝোকে ভ্যাঙ্কুভারে আটক করার পর থেকে কানাডা-চীন সম্পর্কেও উত্তেজনা তুঙ্গে। পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেইজিংয়ের প্রতিশোধমূলক দুই কানাডিয়ানকে আটকের ফলে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।
২০১৯ এবং ২০২১ সালে কানাডার নির্বাচনে চীনা হস্তক্ষেপের অভিযোগে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। তবে বেইজিং অভিযোগ অস্বীকার করেছে।